
বার্তা পরিবেশক:
উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দালাল একই ইউনিয়নের ছেপটখালী এলাকার মুহাম্মদ হোসেনের গ্রাহক হয়রানি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে- মুহাম্মদ হোসেন পল্লী বিদ্যুতের কখনো ঠিকাদার, কখনো কর্মকর্তা আবার কখনো কর্মচারী পরিচয় দিয়ে থাকেন। অফিসের বিদ্যুৎ বিল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে নিজেকে বিদ্যুৎ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে গ্রাহকদের বলে বেড়ান এবং গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে মিটারের ইউনিট কম লিখে সহায়তা করেন বলে গ্রাহকের সাথে ধোকাবাজি করেন তিনি। এক মিটার থেকে অন্য বাড়িতে আরেকটি সাব মিটার করে করে দেয়া মুহাম্মদ হোসেন ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয় এবং জালিয়াপালং ইউনিয়নে এভাবে অনেক বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ারও অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার কথা বলে বহু সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানা যায়। গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতি মিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন।
ভুক্তভোগীরা সংযোগ দেয়ার বিলম্বতা নিয়ে কথা বললে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগের শেষ নেই উখিয়া বিদ্যুৎ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি পরিচয়দানকারী মুহাম্মদ হোসেনের।
মনখালী কোণারপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি গরীব মানুষ, অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমার ৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি ছিল। আমার আশেপাশে প্রতিবেশীদের ৩ মাসের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকলেও তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। অথচ আমি মুহাম্মদ হোসেনকে দাবিকৃত ঘুষ দিতে পারিনি বলে আমার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এখন আমার সন্তানরা রাতে লেখাপড়া করতে পারছে না।’
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের উখিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সরওয়ার মোর্শেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘মুহাম্মদ হোসেন নামের ওই ব্যক্তি আমাদের অফিসের কেউ না। সে একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী। নিজের দায়িত্বে গ্রাহকের বাড়িঘর ওয়ারিং করে। আমাদের কোনো দায়িত্বে নেই সে। আমি খবর নিয়ে দেখছি এবং পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়ে মুহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমার ব্যাপারে কে কী বললো তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি যা করি বিদ্যুত অফিসের অর্ডার নিয়ে করি বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।’
এদিকে মিটার দিবে বলে আদায়কৃত টাকা ফিরিয়ে না দিলে এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নামে বার বার গ্রাহক হয়রানী করলে আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
পাঠকের মতামত